একটি প্রতিষ্ঠানের সফলতা নির্ভর করে যখন তার সম্পদগুলোকে সঠিকভাবে ব্যবহার করে সর্বোচ্চ সুবিধা নেয়া যায়। সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত সম্ভব হলে খরচ কমানোর সাথে সাথে অধিক মুনাফা অর্জন সম্ভব হয়। প্রতিষ্ঠানের পরিবহন সংক্রান্ত সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ফ্লিট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা ভেহিকেল ট্র্যাকার ব্যবহার এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটি গাড়ির সকল আপডেট জানতে পারলে আপনি অনেকটাই নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন এবং গাড়ি ও ড্রাইভারদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারবেন। তাই বলা যায়, গাড়ি নিয়ে আপনার সকল দুশ্চিন্তা দূর করার একটি ম্যাজিকেল টেকনোলজি হচ্ছে ভেহিকেল ট্র্যাকার। প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত
গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের অনেকেই ইতিমধ্যে ভেহিকেল ট্র্যাকার সম্পর্কে জানেন এবং তাদের প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করছেন।
সাধারণ ভেহিকেল ট্র্যাকার এ শুধু গাড়ির অবস্থান ও গতিবিধির তথ্য জানা যায়, যা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের তথ্য চহিদা মেটাতে পারে না। তাই প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহারকারীদের তথ্য চাহিদার উপর ভিত্তি করে নিটল নিলয় গ্রুপের ব্র্যান্ড NTrack প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফিচার উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছে। NTrack এর ভেহিকেল ট্র্যাকার ব্যবহার করে একটি সিস্টেম এর মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানের সকল গাড়ির অবস্থান ও গতিবিধি তথ্য থেকে গাড়ির নিড়াপত্তা নিশ্চিতের সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানের ড্রাইভার ম্যানেজমেন্ট, গাড়ির ডকুমেন্টস ম্যানেজমেন্ট, ফুয়েল ও অন্যান্য খরচ এর তথ্য ও রিপোর্ট তৈরি করতে পারবেন। যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ফ্লিট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দক্ষতা অর্জন ও খরচ কমাতে পারবেন সহজেই।
যেসব কারণে ভালো ভেহিকেল ট্র্যাকার হিসেবে NTrack ব্যবহার করবেন আর আপনার কোম্পানিকে ফ্লিট ম্যানেজমেন্টে দক্ষ করে তুলবেন, তা বিস্তারিত জেনে নিন।
১. প্রতিষ্ঠানের সকল গাড়ি এক সিস্টেম এর মাধ্যমে মনিটরিং করতে পারবেন
আপনার কাজটি সহজ করে দিতে প্রয়োজন প্রতিষ্ঠানের সকল গাড়ি এক অ্যাপের মাধ্যমে মনিটরিং করার ব্যবস্থা। আর NTrack-এর সাহায্যে আপনার কোম্পানির সবগুলো গাড়িই একসাথে মনিটরিং করতে পারবেন।
আপনি এই একটি অ্যাপের মাধ্যমেই সবগুলো গাড়ির লাইভ লোকেশন ট্র্যাক করতে পারবেন। গাড়িগুলো কোথায় আছে, কত গতিতে চলছে, ইঞ্জিন বন্ধ না চালু অবস্থায় আছে, কতটুকু দূরত্বে আছে, সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে কিনা, ব্যক্তিগত কারণে অন্য কোথাও সময় ব্যয় করছে কিনা– এসব খুঁটিনাটি সকল বিষয়ে জানতে পারবেন মুহূর্তেই। এতে গাড়ির নিড়াপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সকল গাড়ি নজরদারিতে রাখার কাজটিও হয়ে উঠবে সহজ ও ঝামেলামুক্ত।
২. চুরি যাওয়া গাড়ি উদ্ধারের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে পারবেন
সামান্য বেখেয়ালে চুরি হতে পারে আপনার কোম্পানির গাড়ি। এটি আপনার ব্যবসায়ের জন্য বিরাট ক্ষতি। এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে পারেন গাড়িতে একটি NTrack ভেহিকেল ট্র্যাকার ইন্সটল করার মাধ্যমে। গাড়িকে ২৪/৭ মনিটর করতে পারবেন। গাড়ি কোনো কারনে হারিয়ে গেলেও রিয়েল টাইম লোকেশন ট্র্যাকিং-এর সাহায্যে গাড়িকে ট্র্যাক করতে পারবেন এবং গাড়ি ফিরে পাওয়ার জন্য পরবর্তী আইনি পদক্ষেপও নিতে পারবেন তাৎক্ষণিকভাবে।
৩. গাড়ির গতিবিধি লাইভ পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন
একটি ভেহিকেল ট্র্যাকিং সিস্টেমের জন্য নির্ভরযোগ্যতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। আপনার ট্র্যাকারটি সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা যাচাই করতে পারবেন গাড়ির গতিবিধি লাইভ পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে। NTrack-এর সাহায্যে খুব সহজে গাড়ি কোন রুটে আছে সে ব্যাপারে জানতে পারবেন।
অনেক সময়ই ড্রাইভাররা ব্যক্তিগত কাজে বা সময় বাঁচাতে নির্দেশিত রুটে না গিয়ে অন্য রুটে যায়। যার কারনে পণ্য চুরি যাওয়া বা গাড়ির বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গাড়িতে ভেহিকেল ট্র্যাকার ইনস্টল করা থাকলে আপনি খুব সহজে গাড়িগুলোর গতিবিধি লাইভ পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। এর মাধ্যমে গাড়ির অনুমোদিত ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন সহজেই।
৪. নির্দিষ্ট লোকেশনের কাছাকাছি গাড়ির অবস্থান
NTrack-এ রয়েছে Near Vehicle ফিচার। যার মাধ্যমে সহজেই জানতে পারবেন আপনার নির্দিষ্ট লোকেশনের কাছাকাছি থাকা আপনার গাড়িগুলোর অবস্থান সম্পর্কে। সকল গাড়ির লাইভ লোকেশন তো জানতে পারছেনই, প্রয়োজনে আলাদাভাবে জেনে নিতে পারবেন শুধুমাত্র আপনার নির্দিষ্ট লোকেশনের কাছাকাছি কোন কোন গাড়ি রয়েছে। Near vehicle ফিচারটি মুহূর্তেই আপনাকে আপনার নির্দিষ্ট লোকেশনের কাছাকাছি আপনার যেসব গাড়ি রয়েছে তার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য প্রদান করে থাকে।
৫. ড্রাইভার ম্যানেজমেন্ট করতে পারবেন
NTrack-এর মাধ্যমে সহজেই ড্রাইভার ম্যানেজমেন্টের মতো জরুরী কাজটি করতে পারবেন। ড্রাইভারের সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ করতে পারবেন এই ফিচারটিতে। আপনার ড্রাইভারের নাম, ফোন নম্বর, সে ড্রাইভিং-এ কতটা দক্ষ, তার ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কিনা, তার ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি, ড্রাইভারের ব্যক্তিগত তথ্য ইত্যাদি জরুরী তথ্যগুলো সহজেই সংরক্ষণ করতে পারবেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের কোন গাড়ি, কোন দিনের, কোন সময়ে, কোন ড্রাইভার চালাবে তা নির্দিষ্ট করে তথ্য সংরক্ষণ করতে পারবেন। এতে যেকোনো জরুরী পরিস্থিতিতে সহজেই ড্রাইভারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। যা আপনার কোম্পানির নানা ধরণের ক্ষতি কমাবে, সাথে কমাবে আপনার বাড়তি দুশ্চিন্তা।
৬. গাড়ির ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্ট
প্রত্যেকটি গাড়ির আলাদা আলাদা ডকুমেন্টস সংগ্রহে রাখা বেশ ঝামেলার একটি কাজ। তবে এই ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহে রাখা বেশ জরুরীও। তাছাড়া গাড়ির ডকুমেন্ট ঠিক আছে কিনা, কখন কোন জরুরী পেপার্সের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ইত্যাদি ডকুমেন্টসগুলো ম্যানেজ করতে পারবেন সহজেই NTrack ভেহিকেল ট্র্যাকার সিস্টেমের মাধ্যমে। এছাড়া ভেহিকেল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ড্রাইভার ইনফরমেশন ইত্যাদি ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্টের সুবিধাও রয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের এক্সপায়ার ডেট কাছাকাছি এলে আপনাকে নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। ফলে সময়মতো পেপার রিনিউ করে নিতে পারবেন। বাড়তি ঝামেলাও এড়াতে পারবেন।
৭. ফুয়েল ও অন্যান্য খরচ কমায়
গাড়ি চালাবার ক্ষেত্রে অনেকটা খরচ চলে যায় জ্বালানির পেছনে। সেক্ষেত্রে জ্বালানি খরচ কমাতে পারবেন গাড়িতে ভেহিকেল ট্র্যাকার ব্যবহারের মাধ্যমে। NTrack ভেহিকেল ট্র্যাকারের সাহায্যে গাড়ির যাবতীয় তথ্য, যেমন- জ্বালানি খরচ, ডিস্টেন্স রিপোর্ট, ট্রিপ রিপোর্ট এনালাইসিস করে জ্বালানি খরচ কমানোর পরিকল্পনা করতে পারবেন।
এছাড়া কোন গাড়ীর জন্য কোন খাতে কত খরচ হচ্ছে সে সকল তথ্য খরচের খাত অনুসারে সংরক্ষণ করতে পারবেন। পরবর্তিতে এসকল খরচের তথ্য থেকে এনালাইসিস এর মাধ্যমে প্রতিটি গাড়ির পর্ফমেন্স মনিটরিং করতে পারবেন এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিষ্ঠানের খরচ কমাতে পারবেন, যা প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
Ntrack বাংলাদেশের প্রথম ট্র্যাকিং সার্ভিস। ১ যুগেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে ভেহিকেল ট্র্যাকিং ইন্ডাস্ট্রিতে অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সাথে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে নিটল নিলয় গ্রুপের NTrack। রয়েছে ২৪/৭ সাপোর্ট সেন্টার (নাম্বার: ০৯৬৩৬১০০১০০), সারা বাংলাদেশ জুড়ে সার্ভিস সেন্টার। নানা রকম প্রিমিয়াম ফিচার সহ NTrack সার্ভিস দিচ্ছে বাংলাদেশের দেড় লক্ষ মানুষকে। NTrack ভেহিকেল ট্র্যাকার ব্যবহার করে থাকতে পারবেন একদম দুশ্চিন্তামুক্ত আর আপনার প্রতিষ্ঠানের ফ্লিট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি খরচ কমাতে পারবেন সহজেই।